আরাফার দিনে যেসব আমল করবেন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

আরাফার দিন (৯ জিলহজ) ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় দিন। বিশেষত হজ পালনকারীদের জন্য। তবে যারা হজে না থেকেও এ দিনটি পায়, তাদের জন্যও এটি অনেক ফজিলতের। 

আরাফার দিনে যেসব আমল করা উত্তম

রোজা রাখা (হজে না থাকলে)
রাসূল (সা.) বলেছেন:“আমি আশা করি, আরাফার দিনের রোযা অতীত ও ভবিষ্যৎ এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেয়।”
(সহিহ মুসলিম – ১১৬২) হজে অবস্থানরতদের জন্য রোযা রাখা মুস্তাহাব নয়, বরং বিশ্রামে থাকা উত্তম।

তাওহিদের জিকির করা (সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)
রাসূল (সা.) বলেছেন:“আরাফার দিনে আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যেসব দোয়া করেছিলাম তার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া হলো:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালা হুল হামদ, ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি সাইয়িন কাদীর।

তাকবির বলা (তাকবিরে তাশরিক)

৯ জিলহজ ফজর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রতিটি ফরজ নামাজের পরে একবার করে বলা ওয়াজিব:
"আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ"

কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির

বেশি করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে হবে।

তাওবা ও ইস্তিগফার করা
নিজের পাপের জন্য খাঁটি মনে ক্ষমা চাওয়া। এই দিন আল্লাহ্‌র দরজা খোলা থাকে।

অতিরিক্ত দোয়া করা
আরাফার দিন দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর একটি। এই দিনে নিজের, পরিবার, উম্মাহ ও মৃতদের জন্য দোয়া করুন। রাসূল (সা.) বলেছেন:
“আরাফার দিনে সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো আরাফার দিনের দোয়া।”
(তিরমিজি – ৩৫৮৫)
আস্তাগফিরুলাহ্ ১০০০ বার।
দরুদ শরীফ ৫০০ বার।
 দরুদে ইব্রাহীম ২০ বার।
সুরা ইখলাস ৫০ বার।
''লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া কুল্লি শাইইন কাদীর। - ১০০ বার
ইয়া জাল যালালি ওয়াল ইকরাম। ১০০ বার।
পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ সময় হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নিবেন। নামাজের শেষে কান্না করে দোয়া করবেন।
নামাজের সিজদাতে ৩ বার  "সুবহানা রাব্বিয়াল আলা" বলার পর দোয়া করুন।
প্রতি ওয়াক্ত আজানের জবাব দিন এবং আজানের ফাকে ফাকে মোয়াজ্জিন যখন থামে তখন আপনার মনের সেই কথা টা বলুন যা আপনি পুরন করাতে চান।
ফজরের ৩০ মিনিট বা ১ ঘণ্টা আগে উঠে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুন। নামাজের সিজদায় দোয়া করুন।
তাহাজ্জুদের নামাজ শেষ করে কমপক্ষে ৫০০ বার এস্তেগফার করতে থাকুন। যতক্ষন আজান না দেয়। তারপর আজান দিলে ফজরের নামাজ পড়ে নিন। অন্যের জন্যও দোয়া করুন।