যুদ্ধবিরোধী শিক্ষার্থী বিক্ষোভের লাগাম টানতে মরিয়া ঋষি সুনাক

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০১:০৪ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটি চত্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ক্যাম্পাস এলাকায় তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের এই অনড় অবস্থান থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ওপর চটেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বিক্ষোভের লাগাম টানটে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি।

ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ লাগব করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঋষি সুনাক। 

শুক্রবার (১০ মে) বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জনিয়েছে, তাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ বন্ধে করণীয় ঠিক করতে এই বৈঠক আহ্বানও করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের আগে এক বিবৃতি দেন ঋষি সুনাক। তাতে তিনি গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের দিকে ইঙ্গিত করে শিক্ষার্থীদের প্রতি পরমতসহিষ্ণু আচরণ আশাবাদ ব্যক্ত করে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাপক বিতর্কের জায়গায় হওয়া উচিত। তবে একই সঙ্গে সহপাঠী প্রতিটি সদস্যের জন্য সহিষ্ণুতা ও সম্মানের জায়গায়ও হওয়া উচিত ক্যাম্পাসগুলোর। আমাদের ক্যাম্পাসগুলোর একটি সোচ্চার ক্ষুদ্র অংশ তাদের সহপাঠীদের জীবনযাপন ও পড়াশোনা ব্যাহত করছে। কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি হয়রানি এবং ইহুদি-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।”

ইউরোপের ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে যুদ্ধবিরোধী স্লোগান

গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের শুরু যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে তারা ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, ইসরায়েলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিক্ষোভ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এক পর্যায়ে এসব শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যা ইতিমধ্যে  ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসসহ অন্যান্য দেশে গাজা ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের কয়েকটি দেশে বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাস থেকে হটিয়ে দিয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। অনেক বিক্ষোভকারীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।