সকল দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার নিয়মিত বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়টি তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এক সাংবাদিক তার কাছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আপনাদের জানা আছে। আমরা আগেও বলেছি যে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক বা সকল দলের অংগ্রহণের ভিত্তিতে হওয়া নির্বাচনকে স্বাগত জানাই।
গোপালগঞ্জে তরুণ নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলার পর পরই এমন মন্তব্য করলো নয়াদিল্লি। গোপালগঞ্জ ইস্যুতে প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চলের সব ধরনের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করি এবং সেখানে কী ঘটছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। প্রয়োজন হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
নির্বাচন ছাড়াও সাংবাদিকরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, ভিসা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা ভিসা পরিস্থিতি কেমন? গত কয়েক মাসে কতজন বাংলাদেশি নাগরিককে চিকিৎসার জন্য ভিসা দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু পরিসংখ্যান কি দিতে পারেন? জবাবে জয়সওয়াল বলেন, আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেই। যেমন পর্যটন, চিকিৎসা, স্টুডেন্ট ভিসা। তাদের উল্লেখযোগ্য হারেই ভিসা দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি সম্পর্কে জানতে চেয়ে এক সাংবাদিকে বলেন, আগামী মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের একবছর হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারত-বাংলাদেশ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য আছে। কীভাবে এগোচ্ছে সেগুলো। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আমাদের অবস্থান আপনি জানেন।
আমরা সেখানে ইতিবাচক ও গঠনমূলক অংশীদারত্ব চাই। এ পর্যন্ত এ দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যেও বৈঠক হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র আছে। আমরা এসব দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেখছি।