ইসরায়েলকে সাহায্য না করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকে সতর্ক করেছে ইরান। যদি এই তিনটি দেশ ইসরায়েলকে সহায়তা করে, তবে এই অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে তেহরান।
শনিবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি সরকারের একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ওপর ইরানি হামলা প্রতিহত করতে যে কোনো দেশ অংশ নিলে, সেই দেশের সব আঞ্চলিক ঘাঁটি, যার মধ্যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সামরিক ঘাঁটি এবং পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরের জাহাজ ও নৌযান অন্তর্ভুক্ত, ইরানি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ‘রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচিত এই অভিযানে দুটি প্রধান লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রের ওপর ব্যাপক বিমান হামলা এবং তেহরানে সুনির্দিষ্ট হামলার মাধ্যমে সামরিক নেতৃত্বকে দুর্বল করে দেওয়া।
ইসরায়েল দাবি, তারা তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্রুত অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে এই হামলা চালায়।
[116400]
এই হামলার বিষয়ে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ইরানের জাতিসংঘ দূত আমির সাঈদ ইরাভানি জানান, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন এবং ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।