কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম ধাপে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বাকি শূন্য আসন পূরণের জন্য চতুর্থ অটো মাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয়ভিত্তিক ফলাফল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রকাশিত হবে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হেলাল উদ্দীন জানান, চতুর্থ অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ফির প্রথম অংশ ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। ৬-১২ জুন পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে।
এরপর আগামী ১৮ জুন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। পূর্বে জমা করা ১০ হাজার টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। সেই সঙ্গে মূল ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র ও কোটার কাগজপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জমা দিয়ে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
হেলাল উদ্দীন আরও জানান, চতুর্থ অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরও যদি আসন শূন্য থাকে তাহলে পঞ্চম অটো মাইগ্রেশন সম্পন্ন করে শূন্য আসনের তিনগুণ শিক্ষার্থীর পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকা ২০ জুন প্রকাশ করা হবে। এরপর ২২ জুন পঞ্চম অপেক্ষমাণ তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নির্ধারিত ভর্তি ফি জমা দিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর বাকৃবিসহ ৯টি কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে গত ১২ এপ্রিল একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো-বাকৃবিতে ১১১৬, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।