আগুনে পুড়ে ৬ দোকান ছাই, নিহত ১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ৬ দোকান ছাই। ছবি : প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকানে থাকা কাপড়, চারটি মোটরসাইকেল, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে তাহিরপুর উপজেলা সদরে বাজার কমিটির অফিস সংলগ্ন দোকান গুলোতে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার আগে থেকেই বিদ্যুৎ ছিল না।

ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে ২৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে আগুন খবর শুনে আগুন লাগার দৃশ্য দেখতে এসে চন্দ রায় নামে এক ব্যবসায়ী গুরুতর অসুস্থ হলে লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

চন্দ রায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধ্য তাহিরপুর (রায়পাড়া)গ্রামের বাসিন্দা অনিল রায়ের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী।

আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদির মিয়া (নিজ বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান),সজিব রায় (মোবাইল মেকানিক),রুবেল মিয়া (স্টিল ফার্ণিচার),তপু আখঞ্জি (মেকানিক ও গ্যারেজ),এলিন মিয়া (মোটরসাইকেল গ্যারেজ), রুবেল মিয়া (মোটরসাইকেল মেকানিক)।

প্রতক্ষদর্শী সাকিব মুন খোকন বলেন, “আমরা বেশ কয়েকজন বাজারেই ঘটনাস্থলের পাশেই বসে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ার চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা আসার আগে সবাই মিলে পানি দেই। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ঘণ্টাখানেক চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”

খবর পেয়ে তাহিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল,বাজার কমিটির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি,সম্পাদক পারভেজ জামান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

তাহিরপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের টিল লিডার কালাম পাশা জানান,খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের সুত্রপাতের কারন জানা যায়নি।

তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ জামান ও ব্যবসায়ীরা জানান, এ ঘটনায় ২৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বলেন, “আমিসহ আমার পরিবারের সকল সদস্য গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি সব শেষ। প্রয়োজনীয় সকল কাগজ, নগদ টাকা, ব্যবসার মালামালসহ সব আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে।”