রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুল পরিষ্কার, শিক্ষকসহ অসুস্থ ১৩ জন

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যালয় খোলার পর শ্রেণিকক্ষ ও মাঠ পরিষ্কার করার সময় ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেছেন।

[85914]

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।”

রবিউল ইসলাম আরও বলেন, “কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। পরে স্কুলের টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানি পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, ‘স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি পান করিয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে।’ পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যাওয়া হয়। সেখানে সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।”

অসুস্থরা হলেন শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম ও রবিউল ইসলাম। এছাড়া সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ারসহ প্রায় ১০জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে।

[85912]

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, “টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরণের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুই জনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।”

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, “আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ নেই।”

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পায়নি। গরমের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।”