লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীপুর এলাকায় ঘর থেকে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে তানহা আক্তার মীমের (২০) জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে নিজ ঘর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘরে থাকা ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর বাজারে ক্রোকারিজের ব্যবসা করেন মিজানুর রহমান।
সোনাপুর বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাতে বাড়িতে যান ব্যবসায়ীর ছেলে ফরহাদ হোসেন রাব্বী। এ সময় ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান রাব্বী। পরে ঘরের ভেতরে গিয়ে মা জুলেখা বেগম ও বোন তানহা আক্তার মীমের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন।
তখন আশপাশের লোকজন এসে ঘরের মেঝেতে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এ সময় ঘরের আলমারিতে থাকা ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
জানা গেছে, ছেলে ফরহাদ হোসেন রাব্বীকে বিয়ে করানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মিজান। তাই ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ক্রয় করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরে ডুকে ডাকাতি করার সময় ব্যবসায়ীর স্ত্রী জুলেখা বেগম ও মেয়ে তানহা আক্তার মীম বাধা দিলে দুর্বৃত্তরা দুজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মালামাল লুটে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ডাকাতি না অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।