যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এতে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু সাঈদ।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে ও গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন বাপ্পী, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন ও উজ্জল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান। চাজশির্টভুক্ত চার আসামিই কারাগারে রয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ঝিকরগাছার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামি দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ দুপুরে ভুক্তভোগী নারী তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বেনাপোল আত্মীয়দের বাড়ি থেকে মনিরামপুর নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে গদখালি বাজারে নামেন ভুক্তভোগী নারী। সেখানে একটি ফুলের দোকানে ইয়াসিন আরাফাত নামের যুবকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। দোকানে কথাবার্তার একপর্যায়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আসামি জাবেদ হোসেনের মোটরসাইকেলে তুলে দেয় আরাফাত। এপর অপর তিন আসামি একটি মোটরসাইকেলে তাদের পিছু পিছু যায়। আসামি জবেদ তার গ্রামের লিচুবাগানে নিয়ে যায়। বিকেলে লিচুবাগানে আসামিরা তাকে ধর্ষণ করে। ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা তার শিশু বাচ্চাসহ ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার ও জড়িত চারজনকে আটক করে।