তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, পরে ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের বিয়ে

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক শাহেদুল ইসলামের

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাশিক্ষক শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার পর্যটন এলাকা নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শাহেদুল নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে। তিনি নামার বাজার মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক এবং স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন। এ ছাড়া তিনি ইসলামী যুব আন্দোলনের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবেও পরিচিত।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘হুজুর আমাকে মসজিদের পাশে তার থাকার রুমে রেখে ধর্ষণ করেছেন। বাড়িতে আসার পর বিষয়টি আমার পরিবারকে জানাই। আমরা গরিব মানুষ, আমার বাবা নাই। এখন সালিসে হুজুর আমাকে বিয়ে করবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘শিক্ষক সব দায় স্বীকার করেছেন এবং বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। আর ভুক্তভোগীও বিয়েতে মত দিয়েছেন। তাই সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছে। যদি বিয়ে না হয়ে মামলা-মোকদ্দমা হতো, তাহলে ওই ছাত্রীর পরিবারের খরচ চালানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। তারা অন্যের সাহায্যে জীবন চালায়।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন ধরে ছাত্রীকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ছাত্রী নিজ বাড়িতে ফিরে এসে জানায়, তাকে মুয়াজ্জিনের কামরায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শাহেদুল ইসলামকে আটক করলে তিনি সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন এবং বিয়েতে সম্মত হন। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা কাবিনে মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ নেই। যদি লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’