ঝুলছিল যুবকের মরদেহ, স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে যা লিখে গেলেন চিরকুটে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
ছবি : সংগৃহীত

‘আমার বউ আমার মরার দাই, কারণ সে টাকা টাকা করত; আর আমার কথা শুনতো না। আমাকে মিথ্যা ভালবাসতো, আমি বুঝে গেছি, টাকা না থাকলে সে আমাকে ছেড়ে যাবে। তাই আমি মরে গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন’, এমন কথা লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লোকমান সরদার (৩২) নামের এক দর্জির ঝুলন্ত মরদেহের পাশে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাসা থেকে লোকমান সরদার (৩২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লোকমান একজন দরজি দোকানি। বাসা থেকে পুলিশ একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজার সংলগ্ন ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত লোকমান ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের জাকির সরদারে ছেলে। তিনি পাখিমারা বাজারে দর্জির দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। তিন পাতার চিরকুট পাওয়া যায় তার ঝুলন্ত মরদেহর পাশে। চিরকুটে রক্ত দিয়েও লেখা ছিল। 

সুইসাইড নোটে স্ত্রীকে দায়ী করে লোকমান আরও লেখেন, ‘আমি শেষ চেষ্টা করেছি, পারি নাই, আমার সব টাকা শেষ। তাই আমার বেঁচে লাভ নেই, তুমি আমায় বিশ্বাস করলা না। তাই এ কাজ করছি, সবাই বলে আমি খারাপ, যে বাসায় ভাড়া থাকি; তারাও বলে, আমি নাকি চোর। আমি আর নিতে পারছি না। আমি মরে গেলাম।’ 

স্থানীয় লোকজন জানান, মারা যাওয়া লোকমান অত্যন্ত ভালো ছেলে। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্ব আর স্ত্রীর পরকীয়ার গুঞ্জন পাওয়া যায়। 

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।