ম্যানহোলে মায়ের মৃত্যু: কাঁদছে যমজ ২ শিশু

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০১:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মৃত বাবলুর মেয়ে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে জ্যোতির মরদেহ নিয়ে পৌঁছান স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল তার ছয় বছরের যমজ শিশুসন্তান আরিয়ান ও আইয়ান। রাত ১০টায় পুরাতন গোরস্তান জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন করে পরিবার।

ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি রাজধানীর মিরপুরে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি মনি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে গত রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকার ঢাকনা খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে টঙ্গী এলাকার শালিকচুড়া (টেকপাড়া) বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়।


জ্যোতির ভাই আক্তারুজ্জামান শোভন বলেন, ‘গত রোববার আমার বোন নিখোঁজ হয়, প্রায় ৩৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস তার লাশ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরের পরেই আমরা লাশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা উদ্দেশে রওনা হই। পরিবারের সবার মতামতের ভিত্তিতে এশার নামাজের পর পুরাতন গোরস্তানে তার লাশের দাফন করা হয়।’

এদিকে রাত ১০টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির জানাজায় চুয়াডাঙ্গার নানা স্তরের মানুষ অংশ নেয়। দুই শিশুছেলের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।

জানাজায় নিহতের পরিবারের সদস্য, স্বজনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।