শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে প্রেমিকের বাড়িতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অনশন বসেছেন এক স্কুলছাত্রী।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে দুবাই প্রবাসী বাবু রাড়ীর বাড়িতে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী লামিয়া।
প্রেমিক বাবু রাড়ী ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরচান্দা মুন্সী কান্দি গ্রামের শাহাজালাল রাড়ীর ছেলে।
জানা যায়, বাবু রাড়ী সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন ওই ছাত্রী। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো সময়ও কাটিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাবু ও তার বাবা-মাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফোন করে থানায় অভিযোগে দিয়েছেন।
এ দিকে অনশনে বসার পর বাবুর মা এবং বোনের বিরুদ্ধে অনশনকারী তরুণীকে মারধর করার অভিযোগ তুলেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমিকার আসার খবর টের পেয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিক বাবু রাড়ী। এই নিয়ে পুরো এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে থানা পুলিশ এমনকি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়ালেও কোনো সমাধান হয়নি।
বিয়ের দাবিতে অনশন করা লামিয়া ইসলাম জানান, এখন বিয়ে করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার কাছে।
তিনি বলেন, এক বান্ধবীর মাধ্যমে লামিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় বাবুর। পরে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন তারা। এর কয়েক সপ্তাহ পর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে চান বাবু।
লামিয়ার দাবি, হঠাৎ করেই নানাভাবে ওই তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এমনকি মোবাইল নম্বর, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে প্রেমিকাকে ব্লক করে দেন বাবু। কোনোভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে একপর্যায় রোববার বাবুর বাড়িতে এসে ওঠেন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী লামিয়া। আর সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজেদের প্রেম প্রণয়ের সকল প্রকারের প্রমাণ।
এ বিষয়ে জানতে বাবুর মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে বাবুর প্রতিবেশীরাও মেয়েটির পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। তারা দ্রুত অভিযুক্ত বাবু সরদারের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, “অনশনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই তরুণী বিকেল থেকে বাবুর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন। আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু আমি ব্যস্ততার কারণে সেখানে যেতে পারিনি।”