বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
বাসচালক শাহ সাব্বির মিয়া আটক। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট থেকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ফেরার পথে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় রোববার (১৫ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাসচালক শাহ সাব্বির মিয়াকে আটক করে। অভিযুক্ত অপরজন বাসের হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে গেছেন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “খবর পেয়ে সোমবার (১৬ জুন) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযুক্ত বাসচালকের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। তার সহযোগীর বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে বাসচালক ও হেলপারকে আসামি করে মামলা করেছেন বলেও জানান এসপি।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার তরুণী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার ফার্মগেটের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। রোববার তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও তিনি গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। সিলেটে পৌঁছার পর ঘুম ভাঙলে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার উদ্দেশে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’নামের একটি বাসে ওঠেন। বিভিন্ন স্টপেজে যাত্রী ওঠানামার এক পর্যায়ে বাসটি মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর এলাকায় প্রায় যাত্রীশূন্য হয়ে পড়ে।

বাসের একমাত্র যাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। এসময় চলন্ত অবস্থায় বাসের হেলপার লিটন মিয়া এবং পরে চালক শাহ সাব্বির মিয়া তাকে ধর্ষণ করেন। 

বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে তিনি জোরে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে বাসচালক শাহ সাব্বির মিয়াকে আটক করা হয়। এসময় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এসময় অভিযুক্ত অপরজন হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা শুনেছি তাকে বাসে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর বিস্তারিত বলা যাবে।