বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে শোকজ

নড়াইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনের তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে নড়াইল জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. শাফায়াত মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মো. শাফায়াত মোল্যা ও মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবুর যৌথ নির্দেশনায় শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব ও জেলা ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান মেহেদী, যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা আহ্বায়ক মো. রাশেদুল ইসলাম মামুন।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৯ জুন সংঘটিত অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে এই তিন নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে।

বিশেষভাবে সদর উপজেলা আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মামুনের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে এবং তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জবাব সন্তোষজনক হলে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

উলেখ্যে, গত ৬ জুন সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে মো. আব্দুর রহমান মেহেদী জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে একটি সমালোচনামূলক পোস্ট দেন, যেখানে শহীদদের পরিবার, আহত ও সাধারণ জনগণের প্রতি প্রশাসনের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ছবি যুক্ত করা হয়।

ওই পোস্টটি পরে আমিরুল ইসলাম রানা ডিলিট করে দেন। এ নিয়ে সংগঠনের মেসেঞ্জার গ্রুপে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ৮ জুন সিনিয়র নেতারা মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জুন পুরাতন বাস টার্মিনালে দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যাতে আব্দুর রহমান মেহেদী, রাশেদুল ইসলাম মামুনসহ কয়েকজন আহত হন।