অটোরিকশাসহ নদীতে ডুবে শাশুড়ি-পুত্রবধূ নিহত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৫, ১১:২২ এএম
ছবি: সংগৃহীত

মেঘনা নদী পারাপারের সময় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নদীতে পড়ে গেছে। দুই নারী যাত্রীসহ গাড়িটি ডুবে যায়।

নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ৬টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট এলাকা থেকে অটোরিকশাসহ তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। 
এর আগে, একইদিন ভোর ৪টার দিকে বিশনন্দী ফেরি ঘাটে অটোরিকশাটি ফেরি থেকে পড়ে যায়। এ সময় দুই ছেলে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন শাশুড়ি ও পুত্রবধূ।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানাধীন রসুলাবাগ এলাকার মেকাদ্দেছ মিয়ার স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তার পুত্রবধূ ফারজানা বেগম (১৯)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে খালেদা বেগম তার দুই ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ভোরে বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে ফেরি পারাপারের জন্য অটোরিকশাসহ তারা ফেরিতে ওঠেন।

ছাড়ার মাত্র দুই মিনিট পর নদীর স্রোতে ফেরি একটু কাত হলে অটোরিকশাটি পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় লোকজন ছেলে কামাল হোসেন ও সাগরকে উদ্ধার করলে অটোরিকশাসহ দুই নারী নিখোঁজ হয়।

খবর পেয়ে আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসে সহায়তায় ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফেরিঘাটের কাছে নদীর তলদেশ থেকে অটোরিকশাসহ দুটি লাশ উদ্ধার করে।

স্বজনরা জানান, ঈদের আগের দিন শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে খালেদা বেগম তার দুই ছেলে কামাল হোসেন, সাগর হোসেন ও পুত্রবধূ ফারজানাকে নিয়ে অটোরিকশায় চড়ে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার উদ্দেশে রওনা দেন। ভোর ৪টার দিকে অটোরিকশাটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী এলাকায় পৌঁছালে এই ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরিতে কোনও রেলিং বা সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আড়াইহাজার খাককান্দা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে দুই জন পানিতে ডুবে যায়। পরে ১৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফেরিঘাটের কাছে নদীর তলদেশ থেকে অটোরিকশাসহ দুটি লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।

তিনি জানান, অটোরিকশার ভেতরে আটকে পড়ায় তারা আর বের হতে পারেনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফেরিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।