শ্বশুরের কবরের পাশে পড়ে ছিল গৃহবধূর মরদেহ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-১৩–এর যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) র‌্যাব-১৩–এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৪ মে) ভোরে দিনাজপুর ও ঢাকার দুটি ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম (৪৯), মোছা. ফরিদা বেগম (৪৫) ও মো. ওমের আলী (৪৯)। তারা তিনজনই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধার হওয়া নিহত ওই নারীর নাম খাইরুন নাহার (২৬)। প্রায় আট বছর আগে মো. তাজমুল হকের (৩৩) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, তাদের কোনো সন্তান না থাকায় তাজমুলের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই কলহ লেগে থাকত।

এরপর গত ২১ এপ্রিল সকাল আটটার দিকে খাইরুন নাহারের নিথর দেহ তার স্বামীর বাড়ির প্রায় দুইশ গজ দক্ষিণে একটি বাঁশঝাড়ে তার শ্বশুরের কবরের পাশে পাওয়া যায়।

এসময় তার হাত ও পা বাঁধা ছিল। এই ঘটনায় নিহত খাইরুন নাহারের বাবা বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকালে র‌্যাব নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে অভিযুক্তরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে রয়েছেন। এরপর গত ১৪ মে ভোরে দিনাজপুর সদর উপজেলার মোহনপুর রাবার ড্যাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব।

এদিন ভোর পাঁচটার দিকে র‌্যাব সদস্যরা ঢাকার শাহআলী থানার উত্তর বিশিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফরিদা বেগম ও তার স্বামী ওমের আলী আটক করেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, আটকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।