মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মাগুরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

মাগুরার আলোচিত আট বছরের সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে দ্বিতীয় দিন শিশুটির চাচা, মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক ছাত্র সাক্ষ্য দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামি হিটু শেখ, তার দুই ছেলে সজীব শেখ, রাতুল শেখ এবং স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে আদালতে আনা হয়। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

এত দিন এ মামলায় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না তবে রোববার মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়।

গত ২৩ এপ্রিল শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ মামলার ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আদালত দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চান।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশুটি।এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়।