আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের সমর্থক ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার আল্লাহ চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন।

এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আসিফ মাহমুদের অনুসারী ১৫ জন আহত হন। এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আহত ইউপি সদস্য শেখর বলেন, “আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহু চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন।”

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনহাজুল হক ]বলেন, “উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে।” 

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, “আমাদের উপজেলা ছাত্রদলের পূর্ব নির্ধারিত একটা প্রোগ্রাম ছিল আজকে। উপদেষ্টা আসিফের লোকজন ইচ্ছা করেই আমাদের প্রোগ্রামের বিপরীতে পাল্টা প্রোগ্রাম দিয়ে ঝগড়া বাধায়। আমরা যেখানেই প্রোগ্রাম দেই সেখানেই ওরা পাল্টা প্রোগ্রাম দেয়। এনসিপির নাম করে উপজেলা আওয়ামী লীগের লোকজন জড়ো হয়েছে। আমাদের উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে। এর দায় হলো মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ সাহেব আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে এনসিপির ব্যানারে বিএনপির বিপক্ষে লেলিয়ে দিয়েছেন। আজকের ঘটনায় আমাদের চারজন নেতাকর্মীর অবস্থা গুরুতর। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন আমাদের।”

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা কোনো হতাহতের খবর পাইনি। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।”